নিজস্ব প্রতিনিধি::
কুলিয়ার বহেরায় দিন দুপুরে অবৈধ নারী নিয়ে ফূর্তি করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুলিয়া ইউপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসাদুল ইসলাম ও সাবেক চেয়ারম্যান আছাদুল হকের মধ্যে গোলযোগের সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের বহেরা গ্রামের মৃত জনাব আলীর পুত্র নারী লোভী রেজাউল ইসলাম (৩৫) (১৮ফেব্রুয়ারী) সকালে তার নিজের বাড়িতে আশাশুনি উপজেলার কাটাখালি গ্রামের মৃত আ: গফুরের মেয়ে বিউটি খাতুনের (৩২) সহিত অবৈধ ভাবে ফ‚র্তি করা অবস্থায় এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়ে। তাৎক্ষনিক ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার রিপনকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে আসার আগে রেজাউল পালিয়ে যায়। উল্লেখ বহুদিন ধরে এই রেজাউল একাধিক নারীর সাথে বিভিন্ন কৌশলে সম্পর্ক করে বাড়িতে নিয়ে এসে অবৈধ কাজ করে কিন্তু ধরা পড়েও তার কোন বিচার হয় না। (১৯ফেব্রুয়ারী) সকালে রেজাউল বাড়িতে আসলে এলাকাবাসী তাকে ধরে কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়। শালিসের পূর্বে বহেরা গ্রামের রবিউল ইসলামের পুত্র রিয়াজুল ইসলাম (বাবু) (২৮) কুলিয়া ইউপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসাদুল ইসলামকে বলেন, রেজাউল বার বার নারী নিয়ে ফূর্তি করে তার কোন বিচার হয় না। উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে চেয়ারম্যানকে দেখে নেবে বলে হুমকি ধামকি দেয়। তখন চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম বাবুকে চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষে নিয়ে তার বাবাকে খবর দেয় সুষ্ঠ মিমাংসার জন্য। তার বাবা আসার পরে রিয়াজুল ইসলাম বাবু চেয়ারম্যানকে পুনরায় মানহানি মামলা করার হুমকি দিলে চেয়ারম্যান তখন দেবহাটা থানাকে সংবাদ দেয়। অফিসের বাহির হইতে একজন চেয়ারম্যানকে বলেন সাবেক আছাদুল হক চেয়ারম্যান তার লোকজন দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের দিকে আসছে তার ভাইপো রিয়াজুল ইসলাম বাবুকে নিয়ে যেতে। এসময় সাবেক চেয়ারম্যান আছাদুল হক ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংঙ্কায় বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সহ বিভিন্ন লোক প্রশাসনকে অবগত করলে দেড় ঘন্টার মধ্যে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে সাবেক চেয়ারম্যান লোকজন নিয়ে জোর করে অফিস ঘর থেকে তার ভাইপো রিয়াজুল ইসলাম বাবুকে ফিল্মস্টাইলে নিয়ে যায়। কুলিয়া ইউপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জানান, আমাকে মারধর করে বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ আসবাবপত্র ভেঙ্গে বাবুকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে এব্যাপারে আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবো। এদিকে কুলিয়া সাবেক চেয়ারম্যান আছাদুল হক জানান, আমার ভাইপো ন্যায় বিচার চাওয়ায় তাকে অফিসে আটকায়ে বেদম মারধর করে থানায় দেওয়ার চেষ্টা করিলে আমি আমার লোকজন নিয়ে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। আমি ও আমার লোকজন অফিসের কোন জিনিষে হাত দেয় নাই এবং কাউকে মারধর করিনি। তবে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অফিস রুমের চেয়ার, টেবিল ও বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর ও চেয়ারম্যানের গিঞ্জি ছেড়া অবস্থায় আছে। দুপুর ১২.২৩ মিনিটে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া আফরীন ও দেবহাটা থানার এস.আই হেকমত সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সাংবাদিক ও এলাকাবাসীরা এস.আই হেকমত কাছে তাদের দেরিতে আসার কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মহাদয় আসার জন্য আমাদের সেখানে যাওয়ার কারনে আসতে একটু বিলম্ব হয়েছে। দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, এঘটনায় এখনো কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি, অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাজিয়া আফরীন বলেন, ঘটনাটি অনাকাঙ্খিত ও দুঃখজনক। বিষয়টি পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply