শাহিনুর ইসলাম:: দেবহাটার কুলিয়ায় ইট ভাটার মাটির কাঁদায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শতাধীক ব্যক্তি মটরসাইকেল যোগে যাওয়ার পথে কাঁদায় পড়ে আহত হয়েছে। “ক্লিন সাতক্ষীরা, গ্রীন সাতক্ষীরা” বাস্তবায়নের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মহোদয় যেখানে তৎপর সেখানে কিছু লোক সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য চক্রান্ত চালাচ্ছে নিজেদের স্বার্থের জন্য। মঙ্গলবার ২৫(ফেব্রুয়ারী) হালকা বর্ষার ফলে মানুষ পড়ছে এবং হাসপাতালে যাচ্ছে এমন ঘটনা ঘটছে সারাদিন বিসমিল্লাহ বিক্সসের সামনে, পুষ্পকাটি ভাটায়, বহেরা বাজার, কুলিয়া বাজার সহ বিভিন্ন স্থানে। সাধারন মানুষ বলে কিছু করার নাই কারণ প্রভাবশালী ব্যক্তিরা তাদের সাধ্য পূরণের জন্য হাজার হাজার মানুষের জীবন নিয়ে খেলছে। বর্তমানে রাস্তাটিতে পায়ে হেঁটে গেলেও মানুষ পড়ে যাবে এমন করুন অবস্থা। গত (৩০জানুয়ারী) এমন ঘটনা ঘটেছে তবুও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি কেন? এরা প্রশাসনকে টাকা দিয়ে চুপ করে দেয় বলে সাধারন মানুষের ধারণা। তাছাড়া ইট ভাটায় মাটি নিয়ে যাওয়ার ফলে রাস্তাটির এমন বেহাল দশা হয়েছে। অবৈধ ডাম্পার গাড়ীতে মাটি বহনের ফলে রাস্তার উপর মাটি পড়ে রাস্তাটি নেল কাঁদায় পরিণত হয়েছে ঢব ঢব করে পড়ছে মটরসাইকেল আরোহীরা। বর্তমানে রাস্তাটি কাঁচা রাস্তায় পরিণত হয়েছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় বর্তমানে রাস্তাটি এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। ধুলাবালি ও কাঁদায় জনদূর্ভোগে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে সাধারন মানুষ। এক দিকে একদিকে রাস্তায় কাঁদা বালি ও ধুলা অন্যদিকে রাস্তটি গর্তে পরিণত হয়েছে এমনকি মহাসড়কটির বেহাল দশার কারনে দক্ষিনাঞ্চল শ্যামনগর, কালীগঞ্জ ও দেবহাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আশঙ্কাজনক অবস্থায় রোগীদের জেলার সদর হাসপাতাল সহ অন্যান্য হাসপাতালে নিতেও অনেকটা সময়ক্ষেপন ও বেগ পেতে হচ্ছে এ্যম্বুলেন্স ও রোগীর স্বজনদের। প্রায়ই দুই একটি ঢাকা পরিবহন, যাত্রীবাহি বাস, মালবাহি ট্রাক, নছিমন, ইজিবাইক ও ইঞ্জিনচালিত ভ্যান ও মোটরসাইকেল ভেঙ্গে অকেজো হয়ে পড়ে থাকে। জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটিতে যদি এখনই কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা না যায় তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। বিশেষ আগামী বর্ষা মৌসুম তো আছেই। এক দিকে ধুলা বালি অন্যদিকে কাদা। সড়কটির বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে গর্তগুলো একাকার হয়ে যায়। কোথাও কোথাও গর্তের পরিমাণ আরো বেশি। সাধারন মানুষ তীব্র ভোগান্তির শিকার হলেও, কোন ব্যবস্থা গ্রহনের বিন্দুমাত্র মাথাব্যাথা নেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। উক্ত বিষয়ে দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী এলাকাবাসীর।
Leave a Reply