শাহিনুর ইসলাম:: কুলিয়াবাসীর এক নিবেদিত প্রাণ করোনা ভাইরাস মহামারীতে জীবনের মায়া ত্যাগ করে কুলিয়ার মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন আলহাজ্ব আসাদুল ইসলাম। তিনি বর্তমান দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তার বড় ভাই আলহাজ্ব ইমাদুল ইসলাম কুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। সুনামের সহিত তিনি দায়িত্ব পালন করে এই ইউনিয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ব্যবসায়িক কারনে মাঝে মধ্যে বিদেশ যেতে হয় তাকে। কিন্তু থেমে নেই এই ইউনিয়নের উন্নয়নের ধারা। সকলে যখন নিজেকে নিরাপদ রাখতে ঘরে থাকছেন ঠিক তখনই মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসাদুল ইসলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশার আলোকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্বাবোধায়নে ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মহীন খেঁটে-খাওয়া দিনমজুর, অসহায় ও নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে নিজের প্রাণ বাজি রেখে কাজ করছেন তিনি। তিনি ভাল করেই জানেন ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হবে। সেই জন্য তিনি বসে নেই। তেমন কোন সুরক্ষা সরঞ্জাম ছাড়াই মরণব্যাধি করোনা ভাইরাসের ভয়কে উপেক্ষা করে মানুষের সেবায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ব্যাপক ভূমিকা রেখে কুলিয়াবাসীর আস্থা অর্জন করেছেন তিনি। তাছাড়া করোনা ভাইরাসের সংক্রমন প্রতিরোধে লকডাউনে ঘরে থাকা গরীব অসহায়, মধ্যবিত্ত, কৃষক-শ্রমিক, রিক্সা- ভ্যান-অটো-সিএনজি চালক, দিনমজুর, পরিবহন শ্রমিক, ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, পথ শিশু, চা বিক্রেতাসহ অসংখ্য পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন। কুলিয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমি জনগনের সেবক মাত্র, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে জনগনের সেবা করা দায়িত্ব ও কর্তব্য আমাদের। যতক্ষণ এই দেহে প্রাণ আছে ততক্ষণ আমি মানুষের জন্য কাজ করে যাবো ইনশাল্লাহ। আমরা সব সময় এই ইউনিয়নের মানুষের জন্য কাজ করতে চাই তার বিনিময়ে আমাদের কিছু চাই না, শুধু একটু ভালবাসা চাই। তাছাড়া করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির এ সময়ে ইউপি সদস্যরা, সচিব ও গ্রাম পুলিশসহ অন্যান্যদের পাশাপাশি উদ্যোক্তারাও কঠোর ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের সকল কাজে তাদের সহযোগিতা রয়েছে। সর্বশেষ, তিনি করোনা প্রতিরোধে গণজমায়েত পরিহার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও যততত্র চলাফেরা না করে সকলকে ঘরে থাকার আহবান জানান।
Leave a Reply