শাহিনুর ইসলাম:: ছোট্ট শিশু কাজল। বয়স ১২বছর। সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের শশাডাঙ্গা গ্রামের ভ্যান চালক কামরুলের মেয়ে কাজল। জন্মের পর ফুটফুটে শিশু কাজল আর দশটি মেয়ের মতো খেলাধুলা ও হাসি-খুশিতে মেতে থাকতো। হঠাৎ তার তার খেলাধুলা থেমে যায় কারনটা হলো তার গলার মাংস পিন্ডটি বেড়ে উঠতে থাকে। পরে তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে মাংস পিন্ডটি টিউমার বলে ধরা পড়ে। ভ্যানচালক বাবা অনেক কষ্টে শিশু কাজলের চিকিৎসা চালাতে থাকে। কিন্তু টিউমারটি ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। বাড়তে থাকে চিকিৎসার ব্যয়ভার। এব্যয় নির্বাহ করা ভ্যানচালক বাবার কাছে অসম্ভব হয়ে পড়ে। এদিকে চিকিৎসকরা বলেছেন, উন্নত চিকিৎসা করলে শিশু কাজলকে বাঁচানো সম্ভব। এতে শিশু বাঁচাতে বাঁচাতে অন্তত তার দুই লাখ টাকা প্রয়োজন। ঢাকা থেকে ফিরে এসে বর্তমানে শিশুটি টাকার অভাবে বাড়িতে ধুকে ধুকে অন্ধকারের দিকে ধাবিত হচ্ছে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে শিশু কাজলের মা বলেন, আমি মা হিসেবে এই নিষ্পাপ শিশুর অসহনীয় কষ্ট কী করে সহ্য করি। মেয়েটিকে নিয়ে আমি সারারাত ঘুমাতে পারিনা। অসহ্য যন্ত্রণায় করে। তার যন্ত্রনা ও কান্নার অবস্থা দেখে আমাদের খাওয়া-দাওয়া ও চোখের ঘুম নেই। তবে সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে এলে কাজলের চিকিৎসা করানো সম্ভব। সহযোগিতা পাঠানোর ঠিকানা- নগদ নম্বর : ০১৭৪২৮৩৬৫৭৭।
Leave a Reply